[ সেপ্টেম্বর ১, ২০০৯ তারিখে খবর ডট কম-এ সোয়াইন ফ্লু ইনফেকশন নিয়ে উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা করা উচিত, বিশেষ করে শিশু বা গর্ভবতী মাদের, তা নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম। গত সেপ্টেম্বর ২ তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে দুই বিশেষজ্ঞ দুই রকমের মতামত দিয়েছেন। একজন বলছেন এক বছরের নিচের শিশুদের এটা চিকিৎসা দেয়া যাবে না, অন্যজন বলছেন যাবে। এই দ্বিমতের মূল কারণ সর্বশেষ নির্দেশনা না জানা। মূলত এই বিতর্ক নিরসনের জন্যেই লেখাটি লিখেছিলাম। এই লেখা পড়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক তরুন চিকিৎসক ইমেইল করেছেন, ফেসবুকে অনুরোধ করেছেন যেন ছোট-বড় সবার চিকিৎসার নির্দেশনা নিয়েই যেন একটি পূর্ণাঙ্গ লেখা লিখি, তাতে অনেকেই উপকৃত হবেন। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ও ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফ, ডি, এ) ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের ভিত্তিতে এই লেখা মূলত চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য লিখলাম। তবে সাধারণ পাঠকেরাও উপকৃত হবেন- সেজান মাহমুদ]
সাবান দিয়ে ধোয়া, বিশেষ করে কাশি বা হাঁচির পর; চোখ, নাক, মুখ হাত দিয়ে না ধরা, অসুস্থ হলে (ফ্লু'র মতো) কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা ঘরে থাকা, খুব জরুরী না হলে বাইরে বের না হওয়া, ঘর-বাড়ির সাধারণ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ইত্যাদি। চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো স্বল্প সুবিধার দেশে শুধু লক্ষণ থেকেই উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের চিকিৎসা দেয়া জরুরী। প্রথমে এই শ্রেনীর মধ্যে পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের চিকিৎসার নীতি কি হবে?এক. ট্যামিফ্লু (ওসেলটামিভির) শুধু মাত্র এক বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের শিশুদের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত গবেষণায় দেখা গেছে যে এক বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেমন ক্ষতিকর নয়। যেহেতু এক বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে এই সোয়াইন ভাইরাস মারাত্নক ক্ষতি করতে পারে তাই তাদেরকে নিম্নোক্ত চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে বলে অতি জরুরি অনুমোদন দেয়া হয়েছেঃ
- তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের ১২ মিলি গ্রাম দিনে দু’বার পাঁচ দিনের জন্য
- তিন থেকে পাঁচ মাসের শিশুদের ২০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার পাঁচ দিনের জন্য
- ছয় থেকে এগারো মাসের শিশুদের ২৫ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার পাঁচ দিনের জন্য
- শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস
- চামড়া নীল হয়ে যাওয়া বা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
- শিশু যদি যথেষ্ঠ পরিমানে দুধ বা পানীয় পান না করে
- বার বার বমি করা
- মাত্রাতিরিক্ত ঘুমানো বা নেতিয়ে পড়া
- মাত্রাতিরিক্ত বিরক্ত হয়ে থাকা
- ফ্লু'র লক্ষণ প্রশমিত হয়ে আবার জোরালো ভাবে জ্বর ও কাশিসহ ফিরে আসা
চার. এইচ আই ভি তে আক্রান্ত রোগীরা অন্য সাধারণ মানুষের মতোই সমান ঝুকিপূর্ণ। কারণ যদিও এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে কিন্তু সিডি৪ নামক প্রতিরোধের নিয়ামকটি সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে তেমন ভূমিকা রাখে না। তাহলে এরা কেন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ? এর কারণ সোয়াইন ফ্লু থেকে যে অন্য জটিলতাগুলো দেখা দেয় যেমন নিউমোনিয়া, তা ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে, এমন কি জীবনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এজন্য এইচ আই ভি আক্রান্তদের এন্টিভাইরাস ঔষধ দেয়া জরুরী, তার চেয়েও জরুরী এদের অন্য সাধারণ চিকিৎসা ঠিক রাখা, যেমন সিডি৪ নম্বর ২০০ এর ওপরে রাখা, নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করানো ও অন্যান্য সহযোগী চিকিৎসা ঠিক রাখা। এক্ষেত্রে ওসিলটাভির ও জানামিভির এই দুটো ঔষুধ ব্যবহার করা যাবে।
- শ্বাসকষ্ট বা ছোট ছোট শ্বাস প্রশ্বাস
- বুকে বা পেটে ব্যথা
- হঠাৎ মাথা ঘুরানো
- মানসিক বিভ্রান্তি
- বেশি বেশি বমি হওয়া
- ফ্লু'র লক্ষণ প্রশমিত হয়ে আবার জোরালো ভাবে জ্বর ও কাশিসহ ফিরে আসা

ওষুধের নাম চিকিৎসা
ট্যামিফ্লু বা ওসেলটাভির পরিনত বয়সঃ
৭৫ মিলিগ্রাম ক্যাপ, দিনে দু’বার পাঁচ দিন
চিকিৎসাঃ ৯০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দিনে দুই ভাগে ভাগ করে
চিকিৎসাঃ ১২০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দিনে দুই ভাগে ভাগ করে
চিকিৎসাঃ ১৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দিনে দুই ভাগে ভাগ করে
চিকিৎসাঃ দুইবার ৫-মিলিগ্রাম শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেয়া (১০মিলি মোট) দিনে দুবার
প্রতিষেধমূলকঃ -দুইবার ৫মিলিগ্রাম শ্বাসের সঙ্গে
টেনে নেয়া (১০মিলি মোট) দিনে একবার
চিকিৎসাঃ দুইবার ৫-মিলিগ্রাম শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেয়া
(১০মিলি মোট) দিনে দুইবার
প্রতিষধমূলকঃ দ-৫-মিলিগ্রামশ্বাসের সঙ্গে টেনে
নেয়া (১০মিলি মোট) দিনে একবার
অতিরিক্ত তথ্যের জন্য পড়ুনঃ

No comments:
Post a Comment